ভোরে ঘুম ভাঙার পর চোখ বন্ধ রাখা অবস্থায় বিড়ালের মতো আড়মোড়া ভাঙুন। শরীরের প্রতিটি পেশি টান টান করুন। কয়েকবার লম্বা দম নিন। ৩-৪ মিনিট পার হওয়ার পর হাসতে চেষ্টা করুন।
প্রথমদিকে হা-হা-হি-হি করে হাসার চেষ্টা করুন। হা-হা-হি-হি শব্দ করে হাসায় যে শব্দ সৃষ্টি হবে, তা ক্রমে নির্মল প্রাণখোলা ও দম ফাটানো হাসির রাজ্যে নিয়ে যাবে। আপনি হাসির রাজ্যে হারিয়ে যাবেন কয়েক মিনিটের জন্য। প্রথমদিন চেষ্টা করে হয়তো প্রাণখোলা হাসি হাসতে পারবেন না। হয়তো হা-হা-হি-হি শব্দ করবেন। কারণ আপনি তো হাসতে ভুলেই গেছেন প্রায়। কিন্তু কয়েকদিন অনুশীলন করার পর দেখবেন, ভেতর থেকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে নির্মল স্বর্গীয় হাসি বেরিয়ে আসছে। হাসিতে ডুবে থাকুন ৫ মিনিটের জন্য। এ স্বর্গীয় হাসি সারাদিন রাখবে আনন্দ ও উজ্জ্বল।
যৌথ হাসির চর্চা : যৌথ হাসির চর্চা খুব সহজ। ৫-৬ জন থেকে ১০০-১৫০ জন একত্রে হাসতে পারেন। প্রথমে সবাই গোল হয়ে দাঁড়ান। একজন আরেকজনের দিকে তাকিয়ে হা-হা-হো-হো-হি-হি করে কৃত্রিমভাবে হাসতে চেষ্টা করুন। দেখবেন সুড়সুড়ি শুরু হয়ে গেছে। একজন দিলখোলা দম ফাটানো হাসি দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অন্যরাও কিছুক্ষণের মধ্যে স্বতঃস্ফূর্ত হাসিতে ফেটে পড়বেন। কারণ হাসি ছোঁয়াচে। ৫ থেকে ১০ মিনিটের পেট ফাটানো হাসি আপনার দেহমন চাঙ্গা রাখবে সারাদিন।