দেশের খ্যাতিমান কলামিস্ট ও গবেষক সৈয়দ আবুল মকসুদকে আজিমপুর কবরস্থানে দাফন করা হবে বলে জানিয়েছেন তার ছেলে সৈয়দ নাসিফ মকসুদ। আজ বুধবার সকালে তিনি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গতকাল মঙ্গলবার রাতে তার বাবার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে জানিয়ে সৈয়দ নাসিফ মকসুদ বলেন, ‘দুপুর আড়াইটায় বাবার মরদেহ স্কয়ার হাসপাতাল থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবে নেওয়া হবে। সেখানে সাংবাদিকরা শ্রদ্ধা জানানোর পর দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর সবার শ্রদ্ধার জন্য মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নেওয়া হবে। সেখানে নাগরিকদের শ্রদ্ধা জানানো শেষে বাদ আছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে তৃতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর তাকে আজিমপুর কবরস্থানে দাফন করা হবে।’
এরআগে, গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সৈয়দ আবুল মকসুদ রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। জনপ্রিয় এই কলামিস্ট তার গবেষণাধর্মী প্রবন্ধের জন্য সুপরিচিত। তিনি ১৯৪৬ সালের ২৩ অক্টোবর মানিকগঞ্জ জেলার শিবালয় উপজেলার এলাচিপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
সাহিত্যে সামগ্রিক অবদানের জন্য ১৯৯৫ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার পান এই লেখক। এখন পর্যন্ত তার ৪০টির বেশি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। এরমধ্যে রয়েছে দুটি কাব্যগ্রন্থ, একটি কাব্য সংকলন।
তিনি বিখ্যাত ব্যক্তিদের জীবনী নিয়ে গবেষণাধর্মী বই লিখেছেন। এরমধ্যে মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর জীবন, কর্মকাণ্ড, রাজনীতি ও দর্শন, সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহর জীবন ও সাহিত্য, ভাসানী কাহিনী, স্মৃতিতে সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ, গান্ধী মিশন ডায়েরি, পূর্ববঙ্গে রবীন্দ্রনাথ, বিশ্বের শ্রেষ্ঠ দশ দার্শনিক, পথিকৃৎ নারীবাদী খায়রুন্নেসা খাতুন, মোতাহের হোসেন চৌধুরী জীবন ও সাহিত্য, হরিশচন্দ্র মিত্র উল্লেখযোগ্য।
তার প্রবন্ধের বইয়ের মধ্যে যুদ্ধ ও মানুষের মূর্খতা, গান্ধী, নেহরু ও নোয়াখালী, ঢাকার বুদ্ধদেব বসু, রবীন্দ্রনাথের ধর্মতত্ত্ব ও দর্শন, প্রভৃতি, প্রতীচ্য প্রতিভা, কাজী ইমদাদুল হক রচনাবলি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলাদেশে উচ্চশিক্ষা, অরণ্য বেতার, বাঙালি জাতি বাঙালি মুসলমান ও বাঙালি জাতীয়তাবাদ, রাজনীতি ও ধর্মীয় রাজনীতি, রবীন্দ্র রাজনীতি উল্লেখযোগ্য।