প্রচণ্ড গরমে দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে জনজীবন। তিন দিন আগে কয়েক জেলা দিয়ে প্রবেশ করে দাবদাহ এখন ছড়িয়ে পড়েছে দেশের বেশিরভাগ এলাকায়। দেশে গতকাল মঙ্গলবার বছরের সবচেয়ে উত্তপ্ত দিন কেটেছে। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে সীতাকু-ে ৩৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, বুধবার তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে এবং দাবদাহ বয়ে যেতে পারে আরও দুই-একদিন। বৃষ্টির দেখা পেতে অপেক্ষা করতে হবে কয়েক দিন। চলতি মৌসুমের এ দাবদাহ শেষ হতেই কালবৈশাখী আঘাত হানতে পারে দেশের একাধিক স্থানে। আবহাওয়াবিদ মো. শাহিনুল
ইসলাম জানান, মঙ্গলবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে সীতাকু-ে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল শ্রীমঙ্গলে, ১৬ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়া ঢাকায় তাপমাত্রার পারদ উঠেছে ৩৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে। রাতে আরেকটু বাড়ে তাপমাত্রা। এই আবহাওয়াবিদ বলেন, ‘২৫ মার্চ পর্যন্ত এই মৃদু তাপপ্রবাহ থাকবে। মাসের শেষের দিকে ঢাকা, ঢাকার দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে ঝড়োহাওয়াসহ বৃষ্টি হতে পারে, তখন তাপপ্রবাহও কমে আসবে। এ দাবদাহ শেষ হতেই কালবৈশাখী ঝড় আঘাত হানবে। তবে বৃষ্টি শেষ হলে আবার তাপমাত্রা বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। মূলত এ সময়ে তাপমাত্রা একটু বেশিই থাকে। ’
আবহাওয়া অফিস বলছে, সাধারণত মার্চ মাসে টানা দাবদাহ থাকে না। কিন্তু চার দিন ধরে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের কয়েকটি জেলায় শুরু হওয়া দাবদাহটি এখন দেশের বেশিরভাগ এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে। রাজধানীতে দাবদাহ চলছে তিন দিন ধরে। প্রতিদিনই তাপমাত্রা বাড়ছে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপটি দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে। ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, সিলেট বিভাগসহ রাজশাহী, পাবনা ও নীলফামারী জেলার ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকবে। মার্চের দীর্ঘমেয়াদী পূর্বাভাসেই বলা হয়েছিল, মাসের শেষভাগে দেশের পশ্চিম ও উত্তর পশ্চিমাঞ্চলে এক থেকে দুটি মৃদু (সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস) থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ (৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস) বয়ে যেতে পারে।