নিজস্ব প্রতিবেদক : শেরপুর জেলার সদর উপজেলার ঘুঘুরাকান্দি-বেতমারী ইউনিয়নের চরখারচর মধ্যপাড়া গ্রামর কুখ্যাত মাদক সম্রাট বাদল খান পূর্বপরিকল্পিতভাবে একই গ্রামের গোল মাহমুদ শেখের নিরীহ ছেলে নির্মাণ শ্রমিক মো. স্বপন মিয়া (২৬) কে গত ১৩ নভেম্বর রাতে ৯৬ গ্রাম হেরোইন দিয়ে ফাঁসিয়ে দেয়ার অভিযোগ করেছে তার আত্মীয়স্বজন ও গ্রামবাসীরা।
সরেজমিনে গিয়ে মো. স্বপন মিয়ার পরিবার ও গ্রামবাসী সূত্রে জানা গেছে, চরখারচর মধ্যপাড়া গ্রামের মৃত শাহাম খাঁনের ছেলে ১৯টি মাদক মামলার আসামী কুখ্যাত মাদক সম্রাট বাদল খানের সাথে একই গ্রামের গোল মাহমুদের ছেলে মো. স্বপন মিয়া ও আশরাফ আলীর ছেলে কালন মিয়ার সাথে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে র্যাব সদস্যদের দিয়ে মাদক ব্যবসায়ী বাদল খান হেরোইন দিয়ে ওই গ্রামের নিরীহ যুবক পেশায় নির্মাণ শ্রমিক স্বপন মিয়াকে ধরিয়ে দেয়। এঘটনায় বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসী বাদল খানের সম্পৃক্ততার বিষয়টি জানতে পেরে এক গ্রাম্য শালিশ বৈঠকে ওই কুখ্যাত মাদক সম্রাট বাদল খান এক স্বীকারোক্তিতে জানায় ৯৬ গ্রাম হেরোইনের প্যাকেট ওই গ্রামের মৃত আশরাফ আলীর ছেলে কালনের বশতঘরের পিছনে রেখে র্যাব সদস্যদের দিয়ে উদ্ধার করিয়ে পরে কালন মিয়াকে না পেয়ে মো. স্বপন মিয়াকে মোবাইল ফোনে সে ডেকে নিয়ে র্যাবের দল যেখানে অবস্থান করছিল সেখানে পাঠিয়ে দিয়ে বাদল খাঁন তার মোবাইল ফোন বন্ধ করে দেয়। পরে র্যাব সদস্যরা ৯৬ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার ও মো. স্বপন মিয়াকে আটক দেখিয়ে শেরপুর সদর থানায় সোপর্দ করে। পরদিন ১৪ নভেম্বর বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী কুখ্যাত বাদল খানকে এক সালিশ বৈঠকে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে পরিকল্পিতভাবে ওই হেরোইন কালনকে ফাঁসাতেই তার বসতঘরের পিছনে রেখে দিয়েছিল। পরে কালনকে না পেয়ে স্বপন মিয়াকে ফাঁসিয়ে দেয়ার কথা স্বীকার করে যা ভিডিও ধারণ করা হয়।
এব্যাপারে নির্দোষ স্বপন মিয়ার ভুক্তভোগী পরিবার ন্যায় বিচার পেতে এলাকাবাসী মানববন্ধন করেন স্বপনের মুক্তির দাবিতে বিজ্ঞ আদালত ও মানবাধিকার সংস্থার সু-দৃষ্টি কামনা করেছেন। সেই সাথে কুখ্যাত মাদক সম্রাট বাদল খানকে আইনের আওতায় আনার জন্য সংশ্লিষ্ট আইনশৃঙ্খল বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।