এফ এম সিফাত হাসান,শেরপুর প্রতিনিধি: শেরপুরের শ্রীবরদী ও ঝিনাইগাতীতে উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপ শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট গ্রহণের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়েছে। নির্বাচনে শ্রীবরদী উপজেলা চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সাবেক আহবায়ক মো. জাহিদুল ইসলাম জুয়েল হেলিকপ্টার প্রতীক নিয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। আর ঝিনাইগাতী উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা, উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও দুইবারের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আমিনুল ইসলাম বাদশা।
৮ মে বুধবার রাতে শ্রীবরদী উপজেলার সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা একেএম মোরশেদ আলম ও ঝিনাইগাতী উপজেলার সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা পৃথকভাবে এ ফলাফল ঘোষণা করেন।
ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী, শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে উপজেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক মো. জাহিদুল ইসলাম জুয়েল হেলিকপ্টার প্রতীক নিয়ে ২৫ হাজার ১২৩ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ছালাহ উদ্দিন ছালেম কৈ মাছ প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১৯ হাজার ১০ ভোট। এছাড়া এ উপজেলায় ১৩ হাজার ৬২৪ ভোট পেয়ে ভাইস চেয়ারম্যান পদে তালা প্রতীকের প্রার্থী মো. হাফিজুর রহমান ভাইস চেয়ারম্যান ও ৩২ হাজার ৯০৫ ভোট পেয়ে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে পদ্মফুল প্রতীকের প্রার্থী ফুলমালা বিজয়ী হয়েছেন।
অন্যদিকে ঝিনাইগাতী উপজেলায় বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা, জেলা বিএনপির বহিস্কৃত সদস্য ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. আমিনুল ইসলাম বাদশা দোয়াতকলম প্রতীক নিয়ে ১৮ হাজার ৮৮৩ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ফারুক আহাম্মেদ ফারুক মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১৬ হাজার ৫২ ভোট।
এছাড়া এ উপজেলায় ১৩ হাজার ২০৪ ভোট পেয়ে ভাইস চেয়ারম্যান পদে চশমা প্রতীকের প্রার্থী রকিবুল ইসলাম রুকন ভাইস চেয়ারম্যান ও ২০ হাজার ৮৪৭ ভোট পেয়ে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ফুটবল প্রতীকের প্রার্থী জেসমিন আক্তার বিজয়ী হয়েছেন।
এর আগে বুধবার সকাল ৮টা থেকে শ্রীবরদী ও ঝিনাইগাতী উপজেলার ১৪১টি কেন্দ্রে একযোগে ভোট গ্রহণ শুরু হয়, যা চলে একটানা বিকেল ৪টা পর্যন্ত। তবে ভোটার উপস্থিতি কম থাকলেও শান্তিপূর্ণভাবেই শেষ হয় ভোটগ্রহণ। শ্রীবরদীতে ভোট পড়ার হার ছিল ৩৪.২৮ ভাগ এবং ঝিনাইগাতীতে ভোট পড়েছে ৩৫.৬৩ ভাগ।
নির্বাচনে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে র্যাবের চারটি টিম, চার প্লাটুন বিজিবি, এক টিম ব্যাটালিয়ান আনসার, ১ হাজার ৯৭৯ জন আনসার ভিডিপি, ৪২৩ জন পুলিশ, ৯টি স্ট্রাইকিং ফোর্স এবং ১৮ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও দুইজন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করেন। শেরপুরের দুই উপজেলার ভোট গ্রহণ কার্যক্রম ও সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সরজমিনে পরিদর্শন করেন র্যাব-১৪ ময়মনসিংহের অধিনায়ক (অতিরিক্ত ডিআইজি) মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খান বিপিএম, শেরপুরের জেলা প্রশাসক আব্দুল্লাহ আল খায়রুম ও নবাগত পুলিশ সুপার মো. আকরামুল হোসেন পিপিএম-সেবা।