শনিবার, ২১ Jun ২০২৫, ০৭:৪৮ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
জিসিসি ট্যুরিস্ট ভিসা চালু করা হবে শীঘ্রই সখীপুরে বিষপানে যুবকের মৃত্যু সখীপুরে বিএনপি নেতার বসতভিটা ভাংচুরের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন এমপি পদপ্রার্থী হিসেবে আলোচনায় যারা রাজনৈতিক শিষ্টাচারের রোষানলে যশোর -৪ বৃষ্টি হলেই পানি পড়ে ঘরে, না ঘুমিয়ে বসে থাকেন আমেনা খাতুন পল্টনে মাদক কারবারিদের গুলিতে ডিবির দুই সদস্য আহত ইসরায়েলি হামলায় ইরানে নিহত ৬৩৯, আহত ১৩২০ আওয়ামী ঘনিষ্ঠদের তালিকায় থাকা ডা. লিপিকা ভদ্র এখনও দায়িত্বে বহাল-কেরুতে অস্থিরতা তৈরির অভিযোগ এমডি রাব্বিক হাসানের বিরুদ্ধে খাগড়াছড়িতে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর উন্নয়ন ও নারীর ক্ষমতায়নে ১০ দিনব্যাপী ভিডিপি মৌলিক প্রশিক্ষণ শুরু ঢাকায় ভিসা কার্যক্রম ফের চালু করায় অস্ট্রেলিয়াকে প্রধান উপদেষ্টার ধন্যবাদ
বিশ্ব পরিবেশ দিবসে -প্রধানমন্ত্রী আওয়ামী লীগ গাছ লাগায় আর বিএনপি-জামায়াত ধ্বংস করে

বিশ্ব পরিবেশ দিবসে -প্রধানমন্ত্রী আওয়ামী লীগ গাছ লাগায় আর বিএনপি-জামায়াত ধ্বংস করে

নিজস্ব  প্রতিবেদক: পরিবেশ রক্ষায় আওয়ামী লীগ সারাদেশে গাছ লাগায়, আর বিএনপি-জামায়াত আন্দোলনের নামে হাজার হাজার বৃক্ষ ধ্বংস করে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার (৫ জুন) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বিশ্ব পরিবেশ দিবসের অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি। সরকারপ্রধান বলেন, এ দেশের মানুষকে রক্ষা করা আমাদের কর্তব্য। জলবায়ু পরিবর্তনের যে বিরূপ প্রভাব, তা থেকে দেশকে আমরা মুক্ত করতে চাই। সেদিকে লক্ষ্য রেখে আমরা বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছি। যে পদক্ষেপগুলো জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু নিয়েছিলেন।

তিনি বলেন, জাতির পিতা ১৯৭২ সালে পরিবেশ সংরক্ষণের জন্য বিভিন্ন কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেন। ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে একটা সবুজ আচ্ছন্ন পরিবেশ তৈরির পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। ১৯৭২ সালের ১৬ জুলাই তিনি সেখানে বৃক্ষরোপণ সপ্তাহ উদযাপন করেন।বঙ্গবন্ধু বৃক্ষরোপণের জন্য মানুষকে ব্যাপকভাবে উদ্বুদ্ধ করেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, কক্সবাজারে সমুদ্র সৈকতে যে ঝাউ বন, সেটি জাতির পিতার উদ্যোগে রোপণ করা হয়। তাছাড়া আমাদের দ্বীপ অঞ্চল, বিশেষ করে চরাঞ্চলগুলোতে ব্যাপকভাবে বৃক্ষরোপণ করা এবং সেখানে প্রত্যেক প্রজাতির পশুপাখি জোড়ায় জোড়ায় ছেড়ে দেয়া হয়। সেটা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শুরু করেছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, পরিবেশ রক্ষায় আওয়ামী লীগ সারাদেশে গাছ লাগায়, বিএনপি-জামায়াত আন্দোলনের নামে হাজার হাজার বৃক্ষ ধ্বংস করে। এ সময় একটি গাছ কাটলে তিনটি গাছ লাগানোর পরামর্শ দেন প্রধানমন্ত্রী। শেখ হাসিনা বলেন, ইট আমাদের উৎপাদন করতে হবে, তবে সেটা যাতে পরিবেশবান্ধব হয়। বিকল্প ব্যবস্থায়ও জোর দিচ্ছি। প্লাস্টিকের ব্যবহার হচ্ছে এখনো। তবে সুখবর হলো, পাটের থেকে এমন কিছু পণ্য তৈরি করা যায়, যা মাটির সঙ্গে মিশেও যায়। এটার জন্য আমরা নানান ব্যবস্থা নিচ্ছি।

তিনি বলেন, সামাজিক বনায়নে মাত্র ৩০ ভাগ লভ্যাংশ পেতো, এখন এটা ৭০ ভাগ করে দিয়েছি। যার কারণে সবাই সামাজিক বনায়ন আন্তরিকতার সঙ্গে করে। জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের লক্ষ্যে ২২টি এলাকা সংরক্ষণ করেছি। সরকার জলবায়ু পরিবর্তন প্রভাব থেকে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে বাঁচাতে মুজিব অ্যাকশন প্ল্যান করেছি।

সরকারপ্রধান বলেন, ২০০৯ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত ১১টি আইন, নীতি, বিধিমালা ও প্রবিধানমালা প্রণনয়ন করি। আমাদের ১০টি বিশেষ উদ্যোগের একটি পরিবেশ রক্ষা করা। বৃক্ষরোপণ, বন সংরক্ষণ ও বনায়ন বৃদ্ধির মাধ্যমে আমরা ২৫ ভাগ বনায়ন করতে পেরেছি। এরই মধ্যে ছাদ বাগান করার উপরও জোর দিয়েছি। এতে পরিবেশ রক্ষার পাশাপাশি নিজের খাদ্য যোগানও দেওয়া যায়। এবছর ৮ কোটি ৩৮ লাখ চারা রোপণ করা হবে।

সময়ের ধারা সংবাদটি শেয়ার করুন এবং আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ

© All rights reserved © somoyerdhara.com
Desing by Raytahost.com