শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫, ১০:২০ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
তুরস্কে সুগন্ধি গুদামে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, নিহত ৬ চট্টগ্রাম বন্দরে পাকিস্তান নৌবাহিনীর জাহাজ আ.লীগের বিষয়ে সবার স্পষ্ট অবস্থান নেওয়া জরুরি: শফিকুল আলম দুই কোটি টাকা দিয়ে নিবন্ধন পেয়েছে ডেসটিনির আম জনগণ পার্টি, অভিযোগ তারেকের দেশের উন্নয়নে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়াররা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন : প্রধান উপদেষ্টা ইরান শান্তি চায়, কিন্তু চাপে নতি স্বীকার করবে না: পেজেশকিয়ান সিরাজগঞ্জ-৪ আজাদকে প্রার্থী দিলে বিপুল ভোটের ব্যবধানে জিতবে ধানের শীষ নতুন কর্মসূচি ঘোষণা প্রাথমিক শিক্ষকদের নির্বাচনের আগে গণভোটের কোনো সুযোগ নেই: মির্জা ফখরুল সত্তর বছরে বাবা হলেন অভিনেতা কেলসি গ্রামার
আওয়ামী নেতা শাহজালালের দৌড়-ঝাপেই বিপাকে খিলগাঁও পুবালী মার্কেটের ব্যবসায়ীরা

আওয়ামী নেতা শাহজালালের দৌড়-ঝাপেই বিপাকে খিলগাঁও পুবালী মার্কেটের ব্যবসায়ীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক: মো. শাহজালাল। রাজনীতি করেন আওয়ামী লীগের। প্রকাশ্যে তাপসের সাথে রাজনীতি করতেন। অথচ পরিবর্তিত পরিস্থিতির পর এখন হয়ে গেছেন বিএনপির সক্রিয় কর্মী। আওয়ামী শাসনামলে যা মন চাইতো তাই করতেন। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এখন তিনি বিএননি সেজেছেন। এখনো তিনি যা ইচ্ছা করছেন তাই হচ্ছে। নিয়ম কানুন এমনকি প্রশাসনের নির্দেশনাকেও বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে অবৈধভাবে ক্ষমতার প্রভাব খাটাচ্ছেন। মুলত তার দৌড় ঝাপেই একটি মার্কেটের সকল ব্যবসায়ী বিপাকে পড়েছেন।

আওয়ামী লীগের সময়ে শাহজালাল কখনো ব্যরিস্টার ফজলে নুর তাপস আবার কখনো বাহাউদ্দিন নাসিম এমনকি জাহাঙ্গীর কবির নানকের সাথে একসাথে মিছিল মিটিং করেছেন, ছবি তুলেছেন এবং নানারকম কর্মকাণ্ডে অংশ নিয়েছেন। ছিলেন আওয়ামী লীগের সক্রিয় একজন কর্মী। ওই সব ছবি ও ভিডিও ব্যবহার করে নিয়েছেন নানা ধরণের সুযোগ সুবিধা। ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে দক্ষিণ খিলগাঁও পুবালী মার্কেট ব্যবসায়ীদের নানাভাবে হেনস্থা করেছেন। সেখানকার বিএনপিপন্থী ব্যবসায়ীদের নানাভাবে হয়রাণি করেছেন।

এমনকি মার্কেটের ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও একজন পরিচালককে হাত করে মেয়র তাপসকে ম্যানেজ করে মার্কেটটি ভেঙ্গে ফেলার ষড়যন্ত্র করে। মার্কেটটি এক পর্যায়ে ভেঙ্গেও ফেলে। এরপর সেখানে ১০ তলা মার্কেট করে বিপুল অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ষড়যন্ত্র ফাঁস হয়ে যায়। মার্কেটের ৯৮ জায়গা ব্যক্তি মালিকানাধীন হওয়া সত্ত্বেও মেয়র তাপস তা অবৈধ ঘোষণা দিয়ে মার্কেট ভাঙ্গতে শুরু করে। কিন্তু ৫ আগস্ট ঘটে যাওয়ায় সবার আশায় গুড়েবালি তৈরি হয়। পিছিয়ে যায় মার্কেট ভাঙ্গার কাজ। ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে বিএনপিপন্থী ব্যবসায়ীরা মার্কেট পুনরায় নির্মাণ শুরু করলে শাহজালাল ও তার তিন সহযোগী আতাউর ও বাচ্চু মুন্সিরা মিলে মার্কেটের পাশ দিয়ে চলাচলের রাস্তা সরকারি খাস জমি দখলে নিয়ে নতুন করে কোনো প্রকাশ অনুমোদন ছাড়াই মার্কেট নির্মাণ শুরু করে।

এরইমধ্যে শাহজালাল বিএনপি নেতাদের সাথে হাত মিলিয়ে নেন। বিএনপি নেতাদের সাথে মিছিল মিটিংয়ে অংশ নিয়ে নিজেকে বিএনপির একনিষ্ট কর্মী প্রমাণের চেষ্টায় লিপ্ত আছেন। এখন তিনি নিজেকে বিএনপি কর্মী দাবী করে কয়েকজন নেতার রেফারেন্স দিয়ে এসি ল্যান্ড (রমনা) অফিস, সরকারি বিভিন্ন দফতরে দৌড় ঝাপ করছেন। সেখানে বলার চেষ্টা করছেন এই অতিরিক্ত মার্কেট বিএনপিপন্থী ব্যবসায়ীরাই করছেন। কিন্তু সত্য হলো, মার্কেটের অতিরিক্ত রাস্তা বন্ধ করে মার্কেট নির্মাণকাজ ব্যবসায়ীদের কেউই চাচ্ছেন না। এ নিয়ে কয়েকটি মিডিয়ায় অবৈধ মার্কেট নির্মাণ বন্ধ করা হোক মর্মে সংবাদ প্রকাশিত হলে শাহজালাল ওইসব মিডিয়া হাউজে গিয়ে তদবির করছেন। বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে হুমকি দিচ্ছেন। এমনকি টাকার প্রলোভনও দেখাচ্ছেন। এ বিষয়ে জানতে শাহজালালকে বেশ কয়েকবার ফোন করা হলে তিনি রিসিভ করেননি।

সময়ের ধারা সংবাদটি শেয়ার করুন এবং আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© All rights reserved © somoyerdhara.com
Desing by Raytahost.com