রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০২:৩১ পূর্বাহ্ন

রূপগঞ্জের শীর্ষ সন্ত্রাসী মোশা বাহিনীর অত্যাচারে শঙ্কিত নাওড়াবাসী!

রূপগঞ্জের শীর্ষ সন্ত্রাসী মোশা বাহিনীর অত্যাচারে শঙ্কিত নাওড়াবাসী!

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নজরদিন

বিশেষ প্রতিনিধি : নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের কায়েতপাড়া ইউনিয়নের নাওড়া গ্রামের শীর্ষ সন্ত্রাসী মোশারেফ হোসেন মোশা বাহিনীর অত্যাচারে সেখানকার মানুষ এখন ব্যাপকভাবে শঙ্কিত রয়েছেন। একের পর এক অঘটনের জন্ম দিচ্ছে শীর্ষ সন্ত্রাসী মোশারেফ হোসেন মোশা বাহিনীর সদস্যরা। ফলে আতংকে দিন কাঁটছে সেখানকার সাধারণ মানুষের। মোশা বাহিনীর অত্যাচার থেকে রেহাই পেতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভোক্তভোগী সাধারণ মানুষ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চারটি হত্যা মামলাসহ ৩৩ মামলার আসামি হয়েও মোশারেফ হোসেন মোশা এখনো প্রকাশ্যে ঘুরে বেরাচ্ছে। এ নিয়ে স্থানীয় জনগনের মধ্যে ব্যাপক আতংক দেখা দিয়েছে। যে কোন মূহুর্তে তার মাধ্যমে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে। জানা গেছে, মোশারেফ হোসেন মোশা কায়েতপাড়া ইউপি নির্বাচনে ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য পদে নির্বাচন করে পরাজিত হওয়ার পর থেকেই নাওড়া এলাকায় সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করছে। বহিরাগত সন্ত্রাসীদের নিয়ে বিভিন্ন ধরনের অবৈধ অস্ত্র মজুদ করছেন এবং এলাকাবাসীর উপর বড় ধরনের হামলা চালানোর পাঁয়তারা করছে বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার নাওড়া এলাকায় গত কয়েক বছরে জমির দাম বেড়ে যাওয়ায় স্থানীয় মোতালিব মিয়ার ছেলে ছিঁচকে চোর মোশারেফ হোসেন মোশা নিরীহ মানুষের জমি দখল শুরু করেন। যখন যে দল ¶মতায় আসে তখন ভোল পাল্টে সে দলের কর্মী বনে যান তিনি। আওয়ামী লীগ ¶মতায় আসার পর তিনি যুবলীগ নেতা হিসেবে আবির্ভূত হন। অবৈধ উপায়ে মূলত জমি দখল করে রাতারাতি কোটি কোটি টাকার মালিক হয়ে যান তিনি। এর পরই গঠন করেন বিশাল সন্ত্রাসী বাহিনী। যা এলাকায় মোশা বাহিনী হিসেবে পরিচিত। বর্তমানে ৩০০ অস্ত্রধারীর একটি বাহিনীর নেতৃত্ব দিচ্ছেন মোশা। এই বাহিনী এলাকায় চাঁদাবাজি, নারী নির্যাতন, হত্যা,ধর্ষণ,মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন অপকর্ম করলেও সাধারণ মানুষের জমি দখল করাই মোশার প্রধান পেশা। সাধারণ মানুষকে আতঙ্কিত করতে এ বাহিনী কয়েক দিন পর পর ত্রাস সৃষ্টি করে আসছে। কেউ এর প্রতিবাদ করতে গেলেই হামলা, মারপিট বা হত্যার শিকার হতে হয়। এবারের ইউপি নির্বাচনে ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য পদে নির্বাচন করে বিপুল ভোটে পরাজিত হওয়ার পর থেকেই সে আরও বেপরোয়া হয়ে উঠছে। যার জন্য ঐ এলাকার মানুষ এখনো ব্যাপকভাবে শঙ্কিত।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, এক সময়ের ছিঁচকে চোর মোশা ছিনতাই-ডাকাতি করে হাত পাকিয়ে এখন সন্ত্রাসীদের গডফাদার হয়ে যুবলীগ নেতা হয়েছেন। তাঁর নির্দেশ ছাড়া এলাকার কোথাও কোনো অপকর্ম ঘটে না। সে এখন এলাকার সন্ত্রাসীদের গডফাদার হিসেবে পরিচিত। সবশেষ এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী মোশাকে দ্রুত গ্রেফতারের দাবীতে এলাকাবাসী বিক্ষোভ-সমাবেশ অব্যাহত রেখেছেন এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

সময়ের ধারা সংবাদটি শেয়ার করুন এবং আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ

© All rights reserved © somoyerdhara.com
Desing by Raytahost.com