ঝালকাঠি সদর হাসপাতাল কম্পাউন্ডেই মেডিকেল কলেজ স্থাপনের জন্য প্রস্তাবনা পাঠিয়েছে গণপূর্ত অধিদপ্তর।ঝালকাঠি গণপূর্ত বিভাগ ইতোমধ্যে স্থান নির্বাচন ও ভবনের পরিকল্পনাপত্রে ঝালকাঠি জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলী অনুস্বাক্ষর করেছেন। ঝালকাঠি-২ (সদর-নলছিটি) আসনের এমপি ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য আমির হোসেন আমুও পরিকল্পনাপত্রে ডিও লেটার হিসেবে স্বাক্ষর করেছেন।
পরবর্তী প্রক্রিয়ার জন্য পরিকল্পনাপত্রটি কেন্দ্রীয় পূর্ত অধিদপ্তরে পাঠানো হয়েছে। ঝালকাঠি গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ফয়সাল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সদর হাসপাতাল সূত্র জানায়, ১৯৮৩ সালে ঝালকাঠি সদর হাসপাতাল প্রতিষ্ঠিত হলেও ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হয় ১৯৮৪ সালে। ২০০৩ সালে ১০০ শয্যার প্রশাসনিক অনুমতিতে ৫০ শয্যার জনবল দিয়েই চলে সার্বিক কার্যক্রম। ২০০৩ সালে ১০০ শয্যার প্রশাসনিক অনুমতি পেলেও ২০২২ সালে সমসংখ্যক জনবল নিয়োগের অনুমোদন দেয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
২০১৮ সালের ১১ আগস্ট ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের বহুতল ভবনের উদ্বোধন করা হয়েছে। ভবনটি নির্মাণের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে।
গণপূর্ত কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ১০০ শয্যা বিশিষ্ট ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের পেছনের ডোবাসহ যে জমি রয়েছে সেখানে মেডিকেল কলেজ স্থাপনের জন্য ১২তলা ফাউন্ডেশন নিয়ে ভবন তৈরিতে জমির প্রয়োজন এক একর ৪০ শতাংশ জমি। বাকি জমি ভবনের মাঠ হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারবে। জেলা ভবন নির্মাণ কমিটি সরেজমিন পরিদর্শন শেষে স্থান নির্বাচন করা হয়েছে।
২৫০ শয্যা হাসপাতাল এবং মেডিকেল কলেজ চালু হলে সম্ভাবনার নতুন দ্বার উন্মুক্ত হবে বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন স্থানীয় বিশিষ্টজনেরা। এছাড়াও বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ল্যাব ব্যবসায়ীরাও রয়েছেন আশা নিয়ে।
একদিকে রোগীদের সেবার মান বৃদ্ধি অন্যদিকে একসময়ের দ্বিতীয় কলকাতা খ্যাত ঝালকাঠিতে স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রিক ব্যবসা বাণিজ্য প্রসারের ফলে বেকারত্বের অভিশাপ দূর হয়ে কর্মক্ষেত্রে স্বাবলম্বী হতে পারবে অসংখ্য মানুষ।