বগুড়ার শেরপুরে সুদের টাকা না পেয়ে আকাব্বর হোসেন (৪২) নামের এক মুরগি ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার (৬ জুলাই) দুপুরে উপজেলার গাড়ীদহ ইউনিয়নের কাফুড়া পূর্বপাড়া গ্রামে বাড়ি থেকে ওই ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পরে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ বগুড়ায় শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।
নিহত আকাব্বর হোসেন কাফুড়া পূর্বপাড়া গ্রামের লবির উদ্দিনের ছেলে।
নিহত ব্যক্তির স্বজনরা জানান, আকাব্বর হোসেন পেশায় একজন মুরগি ব্যবসায়ী ছিলেন। স্থানীয় হাট-বাজারে মুরগির ব্যবসা করে সংসার চালাতেন। তার এ ব্যবসার কার্যক্রম বাড়ানোর জন্য এনজিওসহ একাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে চড়া সুদে টাকা ঋণ নেন। এরই ধারাবাহিকতায় সাতমাস আগে একই গ্রামের আজিবর হোসেন ও রানু বেগমের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা সুদের ওপর ঋণ নেন আকাব্বর হোসেন। বিনিময়ে প্রতি মাসে চার হাজার করে সুদের টাকা পরিশোধ করে আসছিলেন তিনি। কিন্তু গত জুন মাসে ব্যবসা মন্দার কারণে তাদের সুদের টাকা দিতে পারেননি। এতে তার ওপর চরম ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন ওই দুই দাদন (সুদ) ব্যবসায়ী।
নিহত ব্যক্তির মেয়ে জামাই শামিম হোসেন অভিযোগ করে বলেন, ‘মঙ্গলবার (৫ জুলাই) রাত সাড়ে ৯টার দিকে বকেয়া সুদের টাকা নিতে আজিবর ও রানু বেগম আমার শ্বশুরবাড়িতে বাড়িতে আসেন। এরপর বাড়ি থেকে তাকে ডেকে নিয়ে কয়েকশ গজ দূরে মজনুর বাড়ি কাছে নিয়ে যান। সেখানে সুদের টাকা পরিশোধ করার জন্য চাপ প্রয়োগ করেন তারা। এনিয়ে তাদের মধ্যে বাগবিতণ্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে আমার শ্বশুরকে বেধড়ক মারপিট করে দ্রুত পালিয়ে যান তারা। পরে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় আশঙ্কাজনক অবস্থায় দ্রুত উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।’ এ ঘটনার ন্যায়বিচার প্রার্থনা করেন তিনি।
এদিকে ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত আজিবর হোসেন ও রানু বেগম পলাতক। বিভিন্ন মাধ্যমে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
জানতে চাইলে শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। মরদেহ উদ্ধার করে বগুড়ার শজিমেক হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, নিহত ওই ব্যবসায়ীর পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।